রুটির তৈরি রুল বা ডিম ও আলুর পুর দিয়ে রোল তৈরির রেসিপি

রুটির তৈরি রুল বা ডিম ও আলুর পুর দিয়ে রোল সকালে কিংবা বিকেলের নাস্তা তে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন।
এমনকি যে কোন অতিথি আপ্যায়নে এই রোল তৈরি করে দিতে পারেন।
খুব অল্প সময়ে এ রোল তৈরি করা যায়।
আপনার হাতের নাগালে থাকা উপকরণ দিয়ে এই রোল তৈরি করে নিতে পারেন।
এই নাস্তাটি যেকোনো ধরনের সসের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
এই রুল তৈরিতে রুলের কোন সিট তৈরি করার ঝামেলা নেই।
খুব সহজে রুটি বেলে নিয়ে এই রোল তৈরি করা যায়।
তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে রোল তৈরি করা যায় –
রুটির তৈরি রুল রেসিপি উপকরণ :
পুরের জন্য যা যা লাগবে –
- আলু – ১ কাপ ( সিদ্ধ করে নিতে হবে)
- ডিম – ১ টি ( সিদ্ধ করে নিতে হবে)
- পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ কুচি – ১ টেবিল চামচ বা স্বাদমতো
- ধনিয়া পাতা কুচি -১ টেবিল চামচ
- চাট মসলা – ১ চামচ
- লবন – স্বাদমতো
- তেল পরিমানমতো – (ভাজার জন্য)
- মুড়ি – ১ কাপ (সুন্দরের জন্য)
ডো তৈরির জন্য যা যা লাগবে :
- ময়দা – ২ কাপ
- লবন – স্বাদমতো
- তেল – ১ টেবিল চামচ
- নরমাল পানি -পরিমাণমতো
একটি পেস্ট তৈরি করার জন্য যা যা লাগবে :
- ময়দা – ২ টেবিল চামচ
- পানি – পরিমাণমতো ( একটি পাতলা পেস্ট তৈরির জন্য)
রুটির তৈরি রুল রেসিপি প্রণালী :
প্রথমে ডো তৈরীর জন্য একটি বড় বল বা বাটি নিয়ে নিতে হবে।
এই বাটির মধ্যে ময়দা, লবন ও তেল দিয়ে দিতে হবে ।
এখন হাত দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ভালোভাবে মিশানো হয়ে গেলে অল্প অল্প পানি দিয়ে একটি ডো তৈরি করে নিতে হবে।
এই ডোটা কে আধা ঘন্টার জন্য ঢেকে রেখে দিতে হবে।
এখন পুর তৈরির জন্য সিদ্ধ করা আলুকে চটকে নিতে হবে।
এখন একটি গ্রেটার মেশিন বা কাটা চামচের সাহায্যে ডিমটাকে ও ছোট ছোট টুকরো বা গ্রেট করে নিতে হবে।
তারপরেই ডিম ও আলুর সাথে একে একে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, চাট মসলা ও স্বাদমতো লবন দিয়ে দিতে হবে।
দেওয়া শেষ হয়ে গেলে, একটি চামচ বা হাতের সাহায্যে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মেশানো শেষ হয়ে গেলে এ পর্যায়ে লবণ চেক করে নিতে হবে।
যদি মনে হয় লবণ লাগতে পারে তখন আর একটু লবণ দিয়ে নিতে হবে।

এখন একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
এর টেস্টের জন্য ২ টেবিল চামচ ময়দা ও পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে।
পানির পরিমাণ এমন ভাবে ঠিক রাখতে হবে যেন, পেস্টটা বেশি পাতলা বা বেশি ঘন না হয়।
এখন আগে থেকে তৈরি করে রাখা ডোটাকে আরেকটু ভালোভাবে মথে নিতে হবে।
মাখা হয়ে গেলে ডো টাকা সমান ভাগে ছোট ছোট বল করে ভাগ করে নিতে হবে।
এখন একটি বলদী একটি রুটি তৈরি করে নিতে হবে।
রুটি টি নরমাল রুটির এর মত হবে।
এখন পুরো রুটির ওপর পুর নিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ছড়ানো হয়ে গেলে এক পাশ থেকে রুলের মতো করে ভাজ দিয়ে নিতে হবে।
রুলের মত করে ভাজ দিতে দিতে শেষের দিকে এসে তৈরি করে রাখা একটু পেস্ট নিয়ে রুটির উপর লাগিয়ে দিতে হবে।
এ পেস্ট লাগানো হয়ে গেলে রুটির অপর পাশে নিয়ে রুলের এর মত ভাজ দিতে হবে।
এখন পুরো রুটিটা যখন রোলের মতো ভাজ দেওয়া শেষ হয়ে যাবে।
তখন হাত দিয়ে একটু লম্বা করে নিতে হবে।
এখন এই রুলের দুইপাশের অসমান অংশকে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে দিতে হবে।
তারপর পুরো রুল টা কে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কেটে নিতে পারেন।
আমি একটি রোল কে দুইটি ভাগ করেছি।
এমন করে প্রতিটির রুটি কে রোলের মতো করে তৈরি করে নিতে হবে।
এখন প্রতিটি রোলের কেটে রাখা অংশকে পেস্ট এর মধ্যে চুবিয়ে নিতে হবে।
চুবানো হয়ে গেলে মুড়ির মধ্যে গড়িয়ে নিতে হবে।
এটা সুন্দরের জন্য দেওয়া হয়েছে।
কেটে রাখা অংশ পেস্টের না চুবালে ভিতর থেকে পুর ভাজার সময় বের হয়ে যেতে পারে।
এমন করে প্রতিটি রোল তৈরি করতে হবে।
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেল গরম হয়ে আসলে একে একে রুল দিয়ে দিতে হবে।
যখন রোল গুলো দুপাশ থেকে হালকা গোল্ডেন কালার হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিতে হবে।
এখন পরিবেশন করলেই হয়ে যাবে মুচমুচে রুটির তৈরি রোল।